ভাগাড়কাণ্ডের অন্যতম মামলার রায় খারিজ করে দোষীদের মুক্তির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পচা মাংস খেয়ে কি কারও শরীর খারাপ হয়েছে? এই প্রশ্নেই নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।
২০১৮ সালে ভাগাড় থেকে মৃত পশুর মাংস নিয়ে রেস্তোরাঁয় বিক্রির ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তুমুল উদ্বেগ ছড়ায়। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় পচা মাছ ও মাংস। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে পচা মাছ ও মাংস উদ্ধার করে খাদ্য সুরক্ষাদফতর ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। ২০১৮ সালের ৫ মে তেমনই অভিযান চালিয়েছিল বনগাঁ পুরসভা। পুর এলাকার ২ টি হোটেল থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৬ কেজি পচা মাছ ও ৩ কেজি পচা মাংস। গ্রেফতার করা হয় হোটেল মালিক ও মাংস বিক্রেতাদের। ওই ঘটনার তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট পেশ করে বনগাঁ থানার পুলিশ। তাতে ২ দোষীর ৫ বছরের জেল ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছিল।
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সাজাপ্রাপ্তরা। উচ্চ আদালতে অভিযুক্তদের আইনজীবী বলেন, তদন্তে একাধিক ফাঁক রয়েছে। তাছাড়া পুলিশ এমন কোনও ব্যক্তির বয়ান রেকর্ড করতে পারেনি যিনি দাবি করেছেন যে পচা মাছ বা মাংস খেয়ে তাঁর শরীর খারাপ করেছে। আদালতে অভিযুক্তদের আইনজীবী দাবি করেন, পুলিশ আধিকারিকরা নিজেদের দক্ষ বলে প্রমাণ করতে ২ জনকে বলির পাঁঠা করছেন। এই সওয়াল শুনে অভিযুক্তদের মুক্তির নির্দেশ দেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।