নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেশ না করায় নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের হলফনামা গ্রহণ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জানিয়েছেন, ওই হলফনামা গ্রহণ করবে না আদালত। ভবিষ্যতে আর কোনও হলফনামা দেওয়ার সুযোগও পাবেন না তাঁরা। এর ফলে মামলার পক্ষ হলেও মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর বক্তব্য কোনও মামলার রায় ঘোষণার সময় ধর্তব্যে আসবে না।
নারদমামলায় অভিযুক্ত ৪ নেতামন্ত্রীর গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেসে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওদিকে তাঁদের জামিনের আবেদনের শুনানির সময় আদালত চত্বরে হাজির ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এর পর এদের দুজনকে মামলায় পক্ষ করে সিবিআই। মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে তাঁদের বক্তব্য জানানোর জন্য হলফনামা দিতে বলে আদালত। কিন্তু এই মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার সওয়াল শেষ হওয়ার পরে হলফনামা পেশ করেন তাঁরা।
বাদী পক্ষের সওয়াল শেষ হওয়ার পর হলফনামা পেশ করায় তা খারিজের আবেদন জানান তুষার মেহেতা। যদিও রাজ্যের তরফে আবেদন ছিল, যেহেতু হলফনামা পেশকারী ২ ব্যক্তি মামলার সঙ্গে যুক্ত নন তাই তাঁদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম লাগু হয় না। রাজ্যের সেই আবেদন আগেই খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট। আজ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিলেন গ্রহণ করা হবে না মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হলফনামা।
এদিন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন অভিযুক্তদের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা। হাইকোর্টের বিচারপতিকে সিবিআই বিভ্রান্ত করেছে বলে কার্যত অভিযোগ তোলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সিবিআই আদালতের বিচারক জামিনের রায়ে কোথাও লেখেননি যে তিনি প্রভাবিত হয়েছেন। অথচ সেই অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের হাজির হয়েছে সিবিআই। এমনকী অভিযুক্তরা যে নিম্ন আদালতে জামিন পেয়েছে হাইকোর্টে আবেদনের সময় সেই কথা জানায়নি তারা। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করা হোক।’