শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কি পার্থ – মানিকদের থেকেই গুরুত্বপূর্ণ কারও নাম উঠে আসছে। শুক্রবার আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে এই প্রশ্ন করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতির আসল অপরাধী কে তা আমরা সবাই জানে। কিন্তু আমার জীবদ্দশায় তার শাস্তি হবে বলে মনে হয় না।’ এর পরই এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।
এদিন আদালতে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া ২৬২ জনের নামের তালিকা জমা দেয় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এর পর এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিবিআইয়ের আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন, তদন্তে যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কি ধৃতদের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ কোনও ব্যক্তির নাম উঠে আসছে? হেফাজতে থাকা ব্যক্তিরা কি তদন্তে সহযোগিতা করছেন? এব্যাপারে সিবিআইকে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে বলেন তিনি।
আদালতের নির্দেশ শুনে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, সোমবার আদালতে আসবেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তারাই বিচারপতির প্রশ্নের জবাব দেবেন। ফলে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ প্রত্যাহার করা হোক। সেই আবেদন গ্রাহ্য করেন বিচারপতি। ফলে সোমবার আদালতে এসে বিচারপতির প্রশ্নের উত্তর দেবেন সিবিআই আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার আদালতে বিচারপতির মন্তব্যের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, কে এই আসল অপরাধী? কার দিকে ইঙ্গিত করছেন বিচারপতি। তবে কি বিচারপতির কাছে এমন কোনও তথ্য রয়েছে যা সিবিআইয়ের কাছে নেই? সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে সোমবার।
এদিন যে ২৬২ জন অযোগ্য প্রার্থীরা তালিকা সংসদ জমা দিয়েছে তাদের ৯ নভেম্বরের মধ্যে মামলায় পক্ষ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।