বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Justice Abhijit Ganguly: এবার জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে থাকা দুই মামলার নথি চাইলেন HC-র ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি

Justice Abhijit Ganguly: এবার জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে থাকা দুই মামলার নথি চাইলেন HC-র ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

হাই কোর্টের তরফে মে মাসের 'কজ লিস্ট' প্রকাশ করলে দেখা যায়, একটি ছাড়া শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বাকি সব মামলাই এখনও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে রাখা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে এবার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত দু'টি মামলার নথি তলব করলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।

গত মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলা সরেছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। অবশ্য শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ঘিরে ধন্দ তৈরি হয়েছিল। প্রশ্ন ওঠে, তবে কি সব নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাই সরানো হল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে? তবে সব মামলা সরানো হয়নি। হাই কোর্টের তরফে মে মাসের 'কজ লিস্ট' প্রকাশ করলে দেখা যায়, একটি ছাড়া শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বাকি সব মামলাই এখনও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে রাখা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে এবার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত দু'টি মামলার নথি তলব করলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। জানা গিয়েছে, সৌমেন নন্দী ও রমেশ মালিকের মামলার নথি চেয়েছে জাস্টিস টিএস শিবজ্ঞানমের কার্যালয়।

এর আগে গত শুক্রবার সুপ্রিম নির্দেশিকার পর জল্পনা তৈরি হয়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে কি সব নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সরে যাচ্ছে? নাকি শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলা সরিয়ে নিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট? অবশেষে তা নিয়ে ধোঁয়াশা দূর হয়। কলকাতা হাই কোর্টের মে মাসের 'কজ লিস্টে' দেখা গিয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষ সংক্রান্ত মামলা ছাড়া নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে রয়েছে। এর আগে বিতারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সব মামলাই হয়ত তাঁর এজলাস থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের লিখিত রায়ে বলা হয়েছিল, একটি মামলাই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিচারাধীন বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কারণেই অভিষেক ও কুন্তলের মামলাটি সরেছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। এদিকে কয়েক সপ্তাহ আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ চিঠি লিখে অভিযোগ করেছিলেন যে কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে বিচারগতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যান অভিষেক। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারের বিষয়টি তুলে ধরেন অভিষেকের আইনজীবী। বলা হয়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, তাতে অভিষেকের প্রতি তাঁর বিরূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই নির্দিষ্ট সেই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটি সরানো হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে।

 

বন্ধ করুন