রাজাবাজারে হিন্দু এবং শিখদের উপরে আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। জরুরি ভিত্তিতে সেই মামলা শুনতে রাজি হল হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ। সংবাদমাধ্যম লাইভ ল'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন যে দুর্গাপুজোর সময় থেকে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। আর সেটা ক্রমশ বাড়ছে। অশান্তি ছড়াতে হিন্দু এবং শিখদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টে দ্রুত আবেদনের আর্জি জানানো হয়। যে আর্জি গৃহীত হয়েছে হাইকোর্টে। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ট্যান্ডন এবং বিচারপতি ভট্টাচার্যের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হবে।
দুর্গাপুজো ও লক্ষ্মীপুজোর সময় অশান্তির অভিযোগ তোলা হয়
আর সেই বিষয়টি যেদিন সামনে এল, তার এক সপ্তাহ আগেই অপর একটি মামলায় রাজ্য পুলিশের রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। দুর্গাপুজো এবং কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সময় রাজ্যে যে হিংসার অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্য পুলিশকে সেই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি, দাবি মামলাকারীর
যিনি ওই (দুর্গাপুজো ও লক্ষ্মীপুজোর সময়ের ঘটনা নিয়ে) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন, তিনি দাবি করেছেন যে দুর্গাপুজো এবং কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সময় রাজ্যের কয়েকটি প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর শোনা গিয়েছে। কিন্তু তারপরও রাজ্য সরকার কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ করেনি। সেই পরিস্থিতিতে যে যে জায়গায় অশান্তির অভিযোগ উঠেছে, সেখানকার মামলাগুলির তদন্তভার নিরপেক্ষ কোনও তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হোক। যদিও সেই জনস্বার্থ মামলার ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় রাজ্য সরকারের তরফে।
আরও পড়ুন: RG Kar Case in SC: আজ সুপ্রিম কোর্টে হল না আরজি কর মামলার শুনানি, কবে ফের হবে? সামনে নয়া তারিখ
রাজ্য পুলিশের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
সেইসব বিষয় শোনার পরে বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির বেঞ্চ রাজ্য পুলিশের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, যে যে এরকম অশান্তির অভিযোগ উঠেছে, সেখানকার পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানাতে হবে।
সেইসঙ্গে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে একজন অতিরিক্ত ডিজি নিয়োগ করতে বলেছে হাইকোর্ট। আর ১৪ নভেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে বিচারপতি ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি রশিদির বেঞ্চ।