করোনা হাসপাতালে মোবাইল ফোনে নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলায় রাজ্য সরকারকে তার বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পক্ষে দায়ের একটি মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে।
Covid-19 হাসপাতালে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করে রাজ্য সরকারের জারি নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি করেছিলেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের নেতা নব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।
মামলাটিকে আর্জেন ম্যাটার বলে বিবেচনা করে শুনানির জন্য আগেই গ্রহণ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তার শুনানি হয়।
শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবীর বক্তব্য শোনের বিচারপতিরা। তাতে তিনি বলেন, সংক্রমণ রোখার নামে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও রাজ্য সরকারের এই নির্দেশের উদ্দেশ্য আলাদা। করোনা হাসপাতালের বেহাল চেহারা বাইরে বেরিয়ে আসা বন্ধ করে মোবাইলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা। এর সঙ্গে সংক্রমণের কোনও সম্পর্ক নেই। দাবির প্রেক্ষিতে আবেদনকারীর আইনজীবীর যুক্তি, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার ১ মাস পরে হঠাৎ মোবাইল ফোন থেকে সংক্রমণের কথা কেন মনে পড়ল রাজ্য সরকারের?
আবেদনকারীর আইনজীবীর বক্তব্য শুনে সাত দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে এবিষয়ে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছে আদালত।
বলে রাখি, গত ২১ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের করোনা হাসপাতালগুলিতে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করে রাজ্য সরকার। পর দিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান জুতোর থেকেও মোবাইল ফোন থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। মুখ্যসচিবের মন্তব্য মেনে নিলেও প্রশ্ন ওঠে, এটা বুঝতে রাজ্য সরকারের পুরো ১ মাস লেগে গেল কেন?