অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে দুই দিন বন্ধ থাকবে কলকাতা হাইকোর্টের সকল কার্যকলাপ। আইএমডির সতর্কতা অনুযায়ী ২৬ মে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির। সেই কথা মাথায় রেখএ আগামী দুই দিন কলকাতা হাইকোর্ট বন্ধ রাখা হবে। জানা গিয়েছে ২৬ এবং ২৭ মে যে মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা ছিল, তা পরবর্তী উপলব্ধ দিনে স্থানান্তরিত করা হবে। উল্লেখ্য বুধবার নারদ মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতি তা পিছিয়ে যাবে।
এদিন নারদ মামলায় চার হেভিওয়েটকে জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে দুই ঘণ্টা। তবে দীর্ঘক্ষণ সওয়াল জবাবের পরও যখন সুরাহা বেরিয়ে আসেনি, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মামলার আগামী শুনানি হবে ২৬ মে। সেদিনই রাজ্যের উপকূলে আছড়া পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। তাই সেদিন এবং তার পরের দিন হাইকোর্ট বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। যার অর্থ আপাতত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গৃহবন্দি থাকতে হবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা সোমবারের শুনানির শুরুতেই জানান, গত ২১ মে কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের তরফে একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন করেছেন তাঁরা। তাই এই মামলার শুনানি আপাতত আগামী বুধবার পর্যন্ত স্থগিত রাখা হোক। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানানো হয়েছে মামলার বিষয়ে। আগামীকাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে যাতে মামলাটি দ্রুত শুনানি করা হয়।
যদিও নারদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশন ত্রুটিপূর্ণ বলে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সংশোধন করে মামলা পুনরায় দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয় সিবিআইকে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল জানিয়েছেন, সিবিআইয়ের দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশনে অন্তত ১২টি টেকনিক্যাল ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে। ওই সমস্ত ত্রুটি সংশোধন করে পুনরায় আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।