মেদিনীপুরে হাসপাতালে স্যালাইন কাণ্ডে প্রসূতি মৃত্যু হয়েছে। আজ, বুধবার এক শিশু মারা গিয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে আজ জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কারণ এই ঘটনা নিয়ে এখন সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আবার এই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবের কাছেও। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ আজ জানিয়ে দিয়েছে, স্যালাইন প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ জমা দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। এমনকী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যও রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিকে এখন এই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এবং মুখ্যসচিবকে দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই বিষয়ে কর্নাটক সরকার আগেই ১২টি সংস্থাকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছিল। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তারও রিপোর্ট চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার সঙ্গে মৃত প্রসূতির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। স্যালাইন কাণ্ডে সোমবার জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। একটি মামলা করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। দ্বিতীয় মামলা করেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। দুটি করার ঘেত্রেই অনুমতি মিলেছে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত শুরু করল সিবিআই
অন্যদিকে আজ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই নিহত প্রসূতির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার তদন্ত চলছে। সিআইডিও তদন্ত করছে। প্রধান বিচারপতি জানতে চান, যে সংস্থার স্যালাইন নিয়ে এত অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য কি কোনও পদক্ষেপ করেছে? জবাবে রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই সংস্থাকে আগেই নানা বিষয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এখন যৌথভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া এদিন স্যালাইন কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়। যদিও তাতে সম্মতি দেননি প্রধান বিচারপতি। গোটা সওয়াল জবাব শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। সংবাদমাধ্যমে সব বিষয়টি দেখেছি। রাজ্য সরকার সম্ভবত কোনও পদক্ষেপও করছে। আগে দেখতে হবে ড্রাগ কোয়ালিটি। সেটা কম্প্রোমাইজ করা যায় না।’ অস্ত্রোপচার হওয়া পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। তাঁদেরই একজন মামনি রুইদাসের (২২) মৃত্যু হয় গত শুক্রবার। আজ এক সদ্যজাতর মৃত্যুর হয়েছে।