২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানোর পর থেকেই একাথিক সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই ব্যাঙ্কগুলির তালিকায় নাম রয়েছে কাঁথির সমবায় ব্যাঙ্কেরও। এই কাঁথির সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টেও যান শুভেন্দু অধিকারী। তবে এই অপসারণে কোনও হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাই কোর্ট। এই আবহে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দিল আদালত। যতদিন না সমবায় ব্যাঙ্কে জটিলতা কাটছে, ততদিন আরবিআই নিযুক্ত সেই আধিকারিকই ব্যাঙ্ক পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে সমস্যা চলছে। শুভেন্দুকেও চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর দাবি জোরালো হচ্ছিল ব্যাঙ্কে। এই আবহে ব্যাঙ্কের কয়েকজন পরিচালন সমিতির সদস্য হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সিঙ্গল বেঞ্চ হয়ে বর্তমানে ডিভিশন বেঞ্চে গড়িয়েছে। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চে বর্তমানে মামলাটির শুনানি হচ্ছে। এই বেঞ্চই বৃহস্পতিবার নির্দেশ দেয় যাতে আরবিআই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনও আধিকারিককে ব্যাঙ্ক পরিচালনার দায়িত্বে নিযুক্ত করে। ৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীকে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই দায়ের হয়েছিল এই মামলা। গতবছর কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। রাজ্যের যুক্তি ছিল, পরপর তিন বছর কেউ সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান থাকতে পারেন না। উল্টোদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর যুক্তি ছিল, তিনি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই তাঁকে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য।