৩ বছর আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি যুবক। এতদিন সেই মামলার তদন্ত করছিল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। তারপরে কোনও কিনারা করতে না পারায় অবশেষে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলায় বাংলাদেশ যোগ রয়েছে। তাই তদন্তে সমন্বয়ের জন্য বিচারপতি মনে করেছেন এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন রয়েছে।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, কলকাতার নিউ আলিপুরের বাসিন্দা তৃষিত বিশ্বাস একজন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে আচমকা তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। এর পরেই চিন্তিত হয়ে পরিবারের সদস্যরা নিউ আলিপুর থানায় যান। সেক্ষেত্রে পুলিশ নিখোঁজের ডায়েরি করলেও কোনও এফআইআর দায়ের করেনি। ঘটনার আট মাস পর নিখোঁজ ছাত্রের সন্ধানে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ একজনকে গ্রেফতারও করেছিল। যদিও পরে জামিন পেয়ে যান ওই ব্যক্তি। তবে মামলার কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় অবশেষে সেটি ক্লোজ করে দেয় পুলিশ। কিন্তু, পুলিশের ভূমিকায় একেবারেই সন্তুষ্ট ছিলেন না ছাত্রের পরিবার।
ছেলের খোঁজ পেতে অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পরিবার। সেই মামলায় প্রথমে সিআইডি তদন্তের দায়িত্বে পায়। পরিবারের দাবি, সিআইডি তদন্ত করার সময় তাঁদের বাড়িতে একজন তৃষিতের খোঁজ দেবে বলে ফোন করেছিল। এমনকি একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। তখনই এই মামলায় উঠে আসে বাংলাদেশ যোগ। তা থেকে সূত্র বার করার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট সেই সময় সিআইডিকে ইন্টারপোলের সাহায্যে যোগাযোগ করে ফোন নম্বরের হদিস জানার চেষ্টা করতে বলেছিল। কিন্তু সেই নম্বরের কোনও অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি। শেষে সিবিআই তদন্ত দাবি জানান ছাত্রের পরিবার। দুই দেশের তদন্তের সমন্বয়ের জন্য সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। সিআইডিকে এই তদন্তের সমস্ত নথি সিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।