সাক্ষীদের বয়ানে তার নাম নেই। অথচ তার নামে চার্জশিট দিল পুলিশ। শুধুমাত্র তদন্তকারী অফিসারের গাফিলতির জন্য এক নির্দোষ ব্যক্তিকে তিন মাস জেল খাটতে হল। এমন ঘটনায় কার্যত বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মামলায় তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, এই মামলায় পিন্টু মালি নামে ওই ব্যক্তির অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, গত জানুয়ারি মাসে প্রচুর পরিমাণে ফেনসিডিলসহ শামীম হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর এই পাচারের ঘটনায় পিন্টু মালিকে গ্রেফতার করেছিল পাতিরাম থানার পুলিশ। গত মাসে যে চার্জশিট পেশ করা হয় তাতে পিন্টু মালির নাম উল্লেখ করে পুলিশ। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান পিন্টু মালি। সেই মামলায় গত সোমবার তদন্তকারী অফিসার অসীম কুমার ঘোষকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতির প্রশ্নের মুখে ভুল স্বীকার করে নেন তদন্তকারী অফিসার।
বিচারপতি তখন তদন্তকারী অফিসারকে প্রশ্ন করেন, ‘শুধুমাত্র ভুলের জন্য একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে ৩ মাসের জেল খাটতে হল এটা কি করে সম্ভব?’ সরকারি কৌঁসুলি সঞ্জয় বর্ধন এনিয়ে ভুল স্বীকার করে নেন। বিচারপতি দেবাংশু বসাক দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপারকে এ নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে, তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল তানিয়েও আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এছাড়াও ওই অফিসারের সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে সরকারি আইনজীবীকে খোঁজ নিতে বলেছেন বিচারপতি। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্ট।