কিছুদিন আগেই রাজ্যের দুই প্রান্তে দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। উত্তর ২৪ পরগনা মাটিয়াতে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনার ঠিক পরেই এক কিশোরকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল মালদার ইংরেজবাজারে। এই দুটি ঘটনা নিয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ কেস ডায়েরি সহ তদন্তের রিপোর্ট পুলিশকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল। আগামী সোমবারের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট খতিয়ে দেখবে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কী ব্যবস্থা নিয়েছে!
মাটিয়া গণধর্ষণকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন কংগ্রেসের আইনজীবী সুমিত্রা নিয়োগী। অন্যদিকে, ইংরেজবাজার ধর্ষণের ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সুস্মিতা সাহা দত্ত নামে কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবী। তারা আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আর্জি জানানোর পাশাপাশি নির্যাতিতাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন।
মাটিয়া ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার ভিত্তিতে নির্যাতিতার চিকিৎসার জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ অনুযায়ী, মেডিকেল বোর্ডে থাকবেন হাসপাতাল সুপার। প্রয়োজনে অন্য হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের মেডিকেল বোর্ডে যুক্ত করা যাবে। এদিন মাটিয়া কাণ্ডের আইনজীবী আদালতের কাছে অভিযোগ করেন, নির্যাতিতার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে দিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্যাতিতার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের দেখা করার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, মাটিয়াতে ১১ বছরের এক নাবালিকাকে নির্জন স্থানে নিয়ে কয়েকজন যুবক গণধর্ষণ করে। তার ওপর এতটাই পাশবিক অত্যাচার করা হয় যে তার যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচার করতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, ইংরেজবাজারে নাবালিকা ঘুমানোর সময় তার ঘরের ভিতরে ঢুকে হাত,পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে সেই যুবক পলাতক রয়েছে।