প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেছেন তরুণী। কিন্তু, সেই সম্পর্ক কোনওভাবেই মেনে নেয়নি তরুণীর পরিবার। সেই কারণে তরুণীর প্রেমিকের পরিবারের সদস্যদের মারধর করার পাশাপাশি হুমকি দিয়ে এসেছে তার পরিবার। আর এবার তরুণীকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খুন করতে চাইছেন তার বাড়ির লোক। নিজের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। সেই সংক্রান্ত মামলায় তরুণীর সুরক্ষার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে এমন অভিযোগ শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে আদালত মন্তব্য করেছে, ‘এমন ঘটনা হলে সেটি হল অনার কিলিং।’
আরও পড়ুন: লেক গার্ডেন্সে প্রেমিকাকে গুলি করে যুবকের আত্মহত্যার নেপথ্যে ত্রিকোণ প্রেম!
আদালত সূত্রের খবর, ঘটনাটি বীরভূমের ইলামবাজার থানা এলাকার। প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পরে তরুণীর বাবা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, যে তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে, অথচ তাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। এর আগে আদালত তরুণীকে বাড়ি ফেরানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তরুণী বাড়ি ফিরতে চাননি। এদিন আদালতের নির্দেশমতো তরুণীকে হাইকোর্টে হাজির করানো হয়। সরকারি আইনজীবী আদালতে বাড়ি তরুণীর আপত্তির কথা জানান। তখনই সামনে আসে বিষয়টি।
সরকারি আইনজীবী আদালতকে জানান, তরুণী বাড়িতে ফিরতে আপত্তি করছেন। কারণ তিনি আশঙ্কা করছেন যে প্রেম করে বিয়ে করার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খুন করতে চাইছে। সরকারি আইনজীবী আরও জানান, এর আগে তরুণীর বাবা ও পরিবারের বেশ কয়েকজন লোক এর আগে তরুণীর প্রেমিকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। সেখানে তার প্রেমিকের পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়েছিল। এই অবস্থায় কোনওভাবেই যাতে তরুণীর পরিবার তাদের ওপর পুনরায় হামলা করতে না পারে অত্যাচার করতে না পারে বা অত্যাচার করতে না পারে সে বিষয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন বিশ্বভারতীর ছাত্রী।
সে সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে মেয়েটিকে সুরক্ষা দিতে হবে। তার কোনও ক্ষতি যেন না হয় সে বিষয়ে পুলিশকে পদক্ষেপ করতে হবে। তরুণী কোনও সমস্যায় পড়লে থানাকে জানাবেন। সেইমতো পুলিশ পদক্ষেপ করবে।