একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। বিজেপির টিকিটে তিনি কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেও খাতায়-কলমে এখনও মুকুল রায় বিজেপি বিধায়ক রয়েছেন। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে মামলা করেছিল বিজেপি। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিধানসভার স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, বিধানসভার স্পিকার মুকুল রায়কে বিধায়ক পদে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে হাইকোর্ট যে স্পিকারের সিদ্ধান্তে একমত নয় তা প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে স্পষ্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্পিকারকে জানাতে বলেছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।
দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধীরা। পরে এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেয়। গত মাসে দেশের শীর্ষ আদালত কলকাতা হাইকোর্টকে একমাসের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়। তবে হলফনামা জমা দিতে দেরি হওয়ায় বিজেপিকে আরও দুদিন অতিরিক্ত সময় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
আবেদনকারীদের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি বিধায়ক মুকুল তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। গত বছরের ১১ জুন সেই সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছিল। সাংবাদিক বৈঠককেই প্রমাণ হিসেবে গণ্য করে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্ববেচনা করতে বলেছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।উল্লেখ্য, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে একটি দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে, অন্যটি তাঁর পিএসি চেয়ারম্যান পদ খারিজের দাবি নিয়ে। দুটি মামলায় বিজেপির করা।