প্রায় ১২ বছর আগে লকআপের ভিতরে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। কিন্তু, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপে জন্য সম্মতি দেয়নি রাজ্য সরকার। ফলে ওই দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু করা যায়নি। সেই সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। এমন অবস্থায় দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের জন্য অবিলম্বে অনুমতি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। শুধু তাই নয় সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে আদালত। অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় আগামী তিনদিনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘আপনি কি ভগবান!’ মারধরের মামলায় পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে মন্তব্য বিচারপতির
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১২ সালে। হুগলির চুঁচুড়া থানার লকআপে অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, ওই দুই পুলিশ অফিসার মারধর করেছিলেন। তবে অভিযোগের পরও ওই দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার। প্রথমে নিম্ন আদালত পরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। এদিন হাইকোর্টের নির্দেশের ফলে দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু করতে হবে। তবে এতদিন ধরে মামলাটি ফেলে রাখার জন্য রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন বিচারপতি।
জানা যাচ্ছে, যে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের মধ্যে একজন বর্তমানে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে এবং অন্যজন বর্ধমানে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে যখন দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তখন প্রথমে মামলা হয় নিম্ন আদালতে। তবে হুগলির তৎকালীন পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী দুজনকেই ক্লিনচিট দিয়েছিলেন। ফলে রাজ্য ওই দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে আর আইনি পদক্ষেপে সম্মতি দেয়নি। কিন্তু, এবার হাইকোর্ট আইনি পদক্ষেপের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিল।
উল্লেখ্য, এদিন মামলায় স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিরও প্রসঙ্গ ওঠে। সেক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়, রাজ্য সরকার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য সিবিআই এবং ইডিকে সম্মতি দিচ্ছে না। তবে এই মামলায় আগামী তিনদিনের মধ্যে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপে সম্মতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।