রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে অবস্থিত হেরিটেজ ভবন ভাঙার কাজে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থানে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে হবে। উল্লেখ্য, এই নির্মাণের জন্যই হেরিটেজ ভবন ভাঙা কাজ শুরু হয়েছিল। তবে এদিন হাইকোর্টের নির্দেশে তা আপাতত বন্ধ রইল।
কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই নির্দেশের পরেও যদি কাজ চলে তাহলে সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে আদালতের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এ বিষয়ে হলফনামা আকারে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হেরিটেজ ভবনের অব্যবহৃত ঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেরল জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন স্বদেশ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। তার হয়ে মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী। তিনি জানান, জোড়াসাঁকো ভবন গ্রেড ওয়ান হেরিটেজ। তাই কোনওভাবেই এই ভবনকে ভাঙা যায় না। অবিলম্বে ভেঙে ফেলার কাজ বন্ধ রাখার আবেদন জানান তিনি। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এই ভবন ভাঙার উপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। আগামী ২১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
মামলাকারীর আইনজীবীর আরও অভিযোগ, জোড়াসাঁকোর বাড়িতে একটি ঘরে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের। কিন্তু, বর্তমান শাসক দল সেটিকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করছে। শিক্ষাবন্ধু সমিতি নামে সংগঠনের একটি কার্যালয় খুলেছে তৃণমূল। শুধু তাই নয় সেখানে থাকা রবীন্দ্রনাথের বহু পুরনো ছবিও খুলে দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় তৃণমূল নেত্রী নেতৃত্বের ছবি টাঙানো হয়েছে।