ভোট মিটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে রাজ্যে। মূলত স্কুল কলেজগুলিতেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলে স্কুল কলেজে পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। এই অবস্থায় শিক্ষকরা চাইছেন দ্রুত স্কুল কলেজগুলি থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হোক। ঠিক অন্যদিকে, ভোট প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর জেলায় জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত হচ্ছেন বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকরা। এই অবস্থায় রাজ্য থেকে এখনই যেন কেন্দ্র বাহিনী প্রত্যাহার করা না হয় তাই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। সেই সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্র বাহিনী থাকবে।
আরও পড়ুন: ভোটগণনার পরও বাংলায় মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, কতদিন রাখবে নির্বাচন কমিশন?
বুধবারে ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরণময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। এর আগে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ১৯ জুন পর্যন্ত বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। তবে একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্যই নির্বাচন হয়ে থাকে। তাই নির্বাচনের আগে এবং পরে কোনওভাবেই হিংসা কাম্য নয়। সেক্ষেত্রে শাসক দলকেই উদাহরণ তৈরি করা প্রয়োজন। আদালতের আরও নির্দেশ, ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত সমস্ত মামলায় রাজ্য পুলিশ তদন্ত করবে। প্রয়োজনে তারা কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে পারবে।
আগামী ১৮ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। তবে তার আগে ভোট পরবর্তী হিংসার ক্ষেত্রে রাজ্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে? তা উল্লেখ করে হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ১৪ জুন রাজ্যকে এ বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার ফলে স্কুল ও কলেজগুলিতে পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বিদ্যুতের বিলও অনেক উঠছে। সেই সমস্যার কথা জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। তবে বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হলেও আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি। আজ বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।