প্রাথমিকের মেধা তালিকা প্রকাশ করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট নিয়ম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। তবে জটিলতার কারণে এতদিন ৪১ জনের মেধা তালিকা প্রকাশ করা যায়নি। এবার কলকাতা হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই অবিলম্বে ওই প্রার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রার্থীদের ডিএলএড ডিগ্রিকে প্রাধান্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেট পরীক্ষা মামলায় ভুল প্রশ্নের সংখ্যা কত? পৃথক কমিটির ভাবনায় হাইকোর্ট
মূলত প্রার্থীদের ডিএলএড এবং বিএড ডিগ্রি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এই প্রার্থীদের দুটি ডিগ্রিই রয়েছে। তবে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল যেহেতু তাদের বিএড ডিগ্রি রয়েছে তাই তাদের ডিএলএড ডিগ্রি প্রাধান্য পাবে না। পরে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। পরে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৪১ জন পরীক্ষার্থী।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ পরীক্ষার্থীদের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। তাদের নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পর্ষদ প্রথম ডিভিশন বেঞ্চ ও পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তবে সুপ্রিম কোর্টও একইভাবে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখে। এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অন্য একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায়। অন্যদিকে, চাকরি প্রার্থীরাও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার অভিযোগ তোলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই সংক্রান্ত মামলায় পর্ষদের সভাপতিকে ব্যক্তিগতভাবে হাজিরা নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ।
পড়ুন: ৬ মাস পরেও প্রাথমিক টেটের রেজাল্ট বেরোল না! কবে প্রকাশিত হবে? মুখ খুলল পর্ষদ
আদালতের নির্দেশ পেয়ে শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সশরীরে হাজিরা দেন গৌতম পাল। হাজিরা দিয়ে তিনি জানান, অন্য একটি মামলায় মেধা তালিকা প্রকাশের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। ফলে সেক্ষেত্রে ৪১ জনের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে মেধা তালিকা প্রকাশ করলে বিভ্রান্তি হতে পারেম এরপর বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন। তাতে বলা হয়েছে, মেধা তালিকায় ৪১ জনের নাম থাকতে হবে।