বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Md Ali Park: দুর্গাপুজোর আগেই খুলে যাবে মহম্মদ আলি পার্ক, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

Md Ali Park: দুর্গাপুজোর আগেই খুলে যাবে মহম্মদ আলি পার্ক, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

কলকাতা হাইকোর্ট। ছবি সৌজন্য : পিটিআই (PTI)

কলকাতার অন্যতম নামকরা পুজো হল মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গাপুজো। শেষবার এখানে দুর্গাপুজো হয়েছিল ২০১৯ সালে। তবে পার্কের ভুগর্ভস্থ জলাধারটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়াররা এই পার্ক বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন। তারপরে ২০১৯ সালে এই পার্ক বন্ধ করে দেয় কলকাতা পুরসভা। 

২০১৯ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে মহম্মদ আলি পার্ক। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই পার্ক জনসাধারণের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা পুরসভাকে এই নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ দুর্গাপুজোর আগেই এই পার্ক সর্বসাধারণের জন্য খুলে দিতে হবে।

কলকাতার অন্যতম বড় পুজো হল মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গাপুজো। শেষবার এখানে দুর্গাপুজো হয়েছিল ২০১৯ সালে। তবে পার্কের ভুগর্ভস্থ জলাধারটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়াররা এই পার্ক বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তারপরে ২০১৯ সালে এই পার্ক বন্ধ করে দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। তারপর থেকে এই পার্কে দুর্গাপুজো বন্ধ রয়েছে। অথচ ১৯৭৮ সালে থেকে এই পার্কে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। সাধারণত মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীদের মধ্যে আলাদা উৎসাহ থাকে। 

তবে কয়েক বছর ধরে এই পার্কে পুজো বন্ধ থাকায় ফুটপাতের মধ্যে পুজো হচ্ছে। ফলে জৌলুসও কমেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার যাতে মহম্মদ আলি পার্কে পুজো করা যায় তার জন্য আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন ৭৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধ। তিনি অভিযোগ করেন, পার্কের মেরামত না হওয়ায় সেটি আগাছায় ভরে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় সেখানে মানুষ খেলাধুলা করতে পারছেন না। তাছাড়া ওই পার্কের জলাধার থেকে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ জল পেতেন। কিন্তু, এখন জল পেতেও সমস্যা হচ্ছে।

মামলাকারী আদালতে আরও জানান, ১৯৭৮ সালের আগে পর্যন্ত অন্য জায়গায় এই দুর্গাপুজো হত। কিন্তু, সেই জায়গায় রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে মহম্মদ আলি পার্কে পুজো সরিয়ে আনা হয়। তাঁর আরও অভিযোগ, পুরসভা তরফে জলাধার মেরামতির কাজ চার বছর কেটে যাওয়ার পরেও সেভাবে এগোয়নি। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্ট তিন মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে।

অন্যদিকে, পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগ জানিয়েছে, নাগরিক সংস্থা একটি বিকল্প জমি চিহ্নিত করেছে। সেখানে নতুন জলাধার এবং একটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হবে। সেটি মহম্মদ আলি পার্কের কাছে অবস্থিত। জলাধারটির জলধারণ ক্ষমতা ৪.৫ মিলিয়ন গ্যালন হবে বলে পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন