রাস্তায় টোটো বাড়ার ফলে যানজট বাড়ছে। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনাও বাড়ছে। এ নিয়ে কড়াকড়ি আগেই শুরু করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। টোটো, ই রিকশা নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই রাজ্য এবং জাতীয় সড়কের উপর টোটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পরিবহণ দফতর। এবার টোটো নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য পরিবহণ দফতরকে গাইড লাইন তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর এবার বেআইনি অটো, টোটো, ই-রিকশা, ম্যাজিক ট্রেকার নিয়ে কড়া মনোভাব দেখাল কলকাতা হাইকোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলায় এই সমস্ত যান বেআইনি হলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: বাসে লোক নেই তাই বেআইনি টোটো, ই-রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার পথে পরিবহণ দফতর
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। সেই মামলাতেই এমন নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি নদিয়ার রানাঘাটের। অভিযোগ, রানাঘাটের এসবিআই মোড় থেকে পায়রাডাঙা স্টেশন পর্যন্ত রাস্তায় প্রচুর অটো চলার ফলে যানজট হচ্ছে। এরফলে সমস্যায় পড়ছেন মানুষ। অভিযোগ, তারপরও নতুন অটোকে ওই রুটে চলার জন্য অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে সমস্যা বাড়ছে। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বেশ কয়েকজন অটো চালক।
প্রসঙ্গত, নতুন অটোকে অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে ২০১০ সালে একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল পরিবহণ দফতর। তাতে বলা হয়েছিল, কোনও নতুন অটোকে অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে রাস্তার অবস্থা বা সেই রাস্তায় যানজটের অবস্থা খতিয়ে দেখতে হবে। কিন্তু, ওই রুটের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলে অভিযোগ। সেই মামলাতে বেআইনি হলেই যান বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বেআইনি যান ধরার জন্য আচমকা পরিদর্শনেরও পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, এর জন্য একটি বিশেষ দল তৈরি করতে হবে।
ডিভিশন বেঞ্চ আরটিএকে নির্দেশ দিয়েছে আট সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ করতে হবে। রাস্তার বর্তমান যানজটের অবস্থা খতিয়ে দেখতে হবে। এর আগেও বেশ কয়েক বার বেআইনি যান নিয়ে পদক্ষেপ করতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বসিরহাট পুরসভায় টোটো নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি মামলায় টোটো নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এ বার নদিয়া জেলার রানাঘাটের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ দিল।