কোনওভাবেই ট্রামলাইন বোজানো যাবে না। এ নিয়ে কমিটির রিপোর্টের পরেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। খিদিরপুর রুটে ট্রাম লাইন বোজানোর অভিযোগ উঠেছিল। তার ভিত্তিতে এমন নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, কারা ট্রাম লাইন বোজানোর সঙ্গে জড়িত তা তদন্ত করে পুলিশকে রিপোর্ট দিতে বলেছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: নতুন রূপে ট্রামকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে কলকাতায়, জয়রাইড হিসেবে এবার হবে ট্রাম ব্যবহার
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্ট বরাবরই ট্রামকে বাঁচিয়ে রাখার মনোভাব দেখিয়েছে। মামলায় একাধিকবার এনিয়ে মন্তব্য করেছে উচ্চ আদালত। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতেও ফের রাজ্য সরকারকে একথা মনে করিয়ে দেয় আদালত। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসের বেঞ্চ জানিয়েছে, ট্রাম হল রাজ্যের ঐতিহ্য। রাজ্য সরকারকে ট্রাম বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এরজন্য রাজ্য সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে বলে জানায় ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্যের আইনজীবী তালে মাসুদ সিদ্দিকি বেঞ্চকে জানান, ময়দান থেকে খিদিরপুর রুটে পিপিপি মডেলে ট্রাম চালানো যায় কি না প্রধান বিচারপতির প্রস্তাব মতো তা জানানো হয়েছে। কোনও বেসরকারি সংস্থা যাতে এবিষয়ে আগ্রহী হয় তারজন্য তাদের আহ্বান জানানো হয়েছে। আইনজীবী জানান, এর আগে আলিপুর অঞ্চলে ট্রাম লাইন বোজানোর অভিযোগ এসেছিল। যদিও সেখানে ১৫-২০ বছর ধরে ট্রাম চলাচল করে না। কারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। যদিও পরিবহণ দফতরেরও এবিষয়টি জানা নেই। দফতরের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে এই ধরনের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, আজ বুধবার হাইকোর্ট নির্ধারিত কমিটি একটি বৈঠক করবে। এই কমিটি ট্রামলাইন বোজানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত হবে সেই রিপোর্ট আদালতে পেশ করবে কমিটি। তারপরেই আদালতে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে। প্রসঙ্গত, একটি নাগরিক সংগঠন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল। তারা অভিযোগ জানিয়েছিল, যে কালীঘাট থেকে শুরু করে ভবানীপুর, জাজেস কোর্ট, খিদিরপুরে ট্রামলাইন পিচ দিয়ে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। সংগঠনটি অবিলম্বে ট্রাম লাইন পুনরুদ্ধারের আর্জি জানিয়েছিল হাইকোর্টে। এরপর গতমাসে কলকাতা হাইকোর্ট ট্রাম লাইন বোজানো বন্ধ করতে বলেছিল। দু সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।