‘আপনি প্রশাসক, সব সমস্যায় পা ছুড়ে কাঁদলে হবে না।’ বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেইসঙ্গে অবিলম্বে তালা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ হস্টেলের খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। যে রিপোর্ট সোমবার তলব করেছিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি বীরভূমের পুলিশ সুপার জানান, আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনওরকম বিশৃঙ্খলাকর পরিস্থিতি নেই। পরিচয়পত্র যাচাইয়ের পর তবেই পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কোনও বহিরাগতও নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আইনজীবী দাবি করেন, পড়ুয়াদের বিক্ষোভের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল।
সওয়াল-জবাবের পর আংশিকভাবে মান্যতা পায় পড়ুয়াদের দাবি। অবিলম্বে তালা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ হস্টেলের খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেইসময় বিশ্বভারতীর প্রশাসক কমিটির সদস্য, ছাত্র সংগঠনের দুই প্রতিনিধি এবং শান্তিনিকেতন থানার দু'জন কনস্টেবলকে উপস্থিত থাকতে হবে। যে পড়ুয়াদের আগে পরীক্ষা আছে, তাঁদের ঘর বণ্টনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পড়ুয়াদের আগে পরীক্ষা আছে, তাঁদের আগে ঘর দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
উল্লেখ্য, সেই মামলার শুনানিতে সোমবার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুপুরে পুলিশকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলে পুলিশ রাতে পৌঁছায়। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অভিযোগ উড়িয়ে দেন বীরভূমের পুলিশ সুপার। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা কোর্টের নির্দেশ মেনে কাজ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যেই পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’