কলকাতার প্রশাসক হিসাবে পাকা হল ফিরহাদ হাকিমের পদ। তাঁর নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের ২টি মামলাই মঙ্গলবার খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, আপদকালীন পরিস্থিতিতে অধ্যাদেশ আনার কোনও দরকার নেই। তবে যত দ্রুত সম্ভব কলকাতা পুরসভায় নির্বাচন কারনোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
গত জুনে কলকাতা পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ ফুরায়। কিন্তু করোনার লকডাউনের জেরে পুর নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ায় নতুন বোর্ড গঠন করা যায়নি। ওদিকে আইনে কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়ে সরকার। তখন আপদকালীন আইনকে হাতিয়ার করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করে নবান্ন। মুখ্য প্রশাসক পদে বসানো হয় বিদায়ী মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাজ হাকিমকে।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। ২টি পৃথক মামলায় অধ্যাদেশ না এনে শুধুমাত্র বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রশাসক নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করা হয় পুরমন্ত্রীকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগকে।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডকে ১ মাসের তত্ত্বাবধায়ক বোর্ড হিসাবে ঘোষণা করে। এরই মধ্যে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা। এর পর যান সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটিকে ফেরত পাঠায়।
সেই মামলায় মঙ্গলবার আদালত জানিয়েছে, মহামারির মধ্যে অর্ডিন্যান্স আনায় জটিলতা রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রক্রিয়াগত বিষয়ে অত সময় খরচ করা যাবে না। একই সঙ্গে ফিরহাদা হাকিমই কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক হিসাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছে আদালত। এতে সাংবিধানিক কোনও বাধা নেই বলে ব্যাখ্যা বিচারপতিদের। তবে কলকাতা পুরসভায় দ্রুত নির্বাচন করানোর নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা।