টেটের দুর্নীতি নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। সুতরাং যে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়া হয়েছিল তা ধোপে টিকল না। কিন্তু এখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে আদালতের এই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে বহাল রাখার মধ্যে দিয়ে।
এক, নিজের এবং পরিবারের সম্পত্তির হিসেব জমা দিতেই হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। আগে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেটাই বহাল রাখা হয়েছে।
দুই, মানিক ভট্টাচার্যকে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়নি। ফলে মানিককে সম্পত্তি সংক্রান্ত তদন্তের মুখোমুখি হতেই হচ্ছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়েই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। যা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে পর্ষদের সভাপতি পদে এখন তিনি ফিরতে পারছেন না। তাঁকে অপসারিতই থাকতে হবে।
তিন, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সিবিআই এবং ইডির তদন্ত চলবে। সিঙ্গল বেঞ্চকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, মানিক ভট্টাচার্য এবং চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা। কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রাথমিক পর্ষদ। কেন ২৬৯ জনকে বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল তা আজ পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। ওএমআর শিট–সহ সিঙ্গল বেঞ্চের সামনে একাধিক নথি পেশ করেনি পর্ষদ। তাই কোন ভুল করেনি সিঙ্গল বেঞ্চ—পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের।
চার, পর্ষদের নথি ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ বহাল থাকবে। আদালতের নজরদারিতে দুর্নীতির তদন্ত হবে। নির্দিষ্ট সময় পরপর রিপোর্ট চাইতে পারবে সিঙ্গল বেঞ্চ। এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
পাঁচ, চাকরি থেকে বরখাস্ত ২৬৯ জন দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতে পারবেন না। সিবিআইয়ের রিপোর্ট থেকেও স্পষ্ট যে অনেকেই টেট ফেল করেও চাকরি পেয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিককে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সম্পত্তির হিসেব দিতেই হবে আদালতে।