হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও চালাকি করতে গিয়ে জরিমানা গুনতে হল প্রধান শিক্ষককে। স্কুলের এক শিক্ষক এইচডি করার জন্য ছাড়পত্র চাইলে তাকে অবাক কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়া আদর্শ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক। আর তাতেই প্রধান শিক্ষককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলা খরচ বাবদ জরিমানার টাকা তিনি মেটাবেন বলে কলকাতা হাইকোর্টকে মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে খবর, প্রীতম পালিত নামে ওই শিক্ষক পিএইচডির জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ছাড়পত্র চেয়েছিলেন। কিন্তু, সেই ছাড়পত্র দিতে রাজি হননি প্রধান শিক্ষক। অনেক আবেদন করার পরেও কাজ না হওয়ায় শেষমেষ তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, স্কুলের পক্ষ থেকে পিএইচডি করার জন্য তাকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে তিনি পিএইচডির জন্য পড়াশোনা করতে পারছেন না। আবেদনকারীর এই অভিযোগ শোনার পর কলকাতা হাইকোর্ট গত সপ্তাহে শুক্রবার আবেদনকারীকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়।
আদালতের নির্দেশের পরে অবশ্য মামলাকারী শিক্ষক নো অবজেকশন সার্টিফিকেট স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পেয়েছেন। তবে তাতে যে শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তা দেখে বিস্মিত হন বিচারপতি।
শর্তে বলা হয়েছিল, পিএইচডির পড়াশোনা চলাকালীন তিনি কোনও ছুটি নিতে পারবেন না। ওই ডিগ্রি নিয়ে তিনি অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেলে সেক্ষেত্রে বয়স্ক ভাতাও নিতে পারবেন না। এমনকি, তিনি কোনও আর্থিক সুবিধাও নিতে পারবেন না। পাশাপাশি, স্কুলের কাজ ব্যাহত করা যাবে না। প্রধান শিক্ষকের এরকম শর্ত দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে যান বিচারপতি। তিনি মন্তব্য করেন, 'আদালতে সঙ্গে চালাকি করে যে শর্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েছেন তা তার এক্তিয়ারের বাইরে। এরপরেই এই শর্ত তুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষককে জরিমানা করেন বিচারপতি। প্রধান শিক্ষক মুচলেকা দিয়ে ভুল স্বীকার করে জরিমানার টাকা দেবেন বলে জানিয়েছেন।