শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে একসময় তোলপাড় হয়ে উঠেছিল বাংলা। তার মধ্যেই দুটি টেটে একাধিক প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৭ এবং ২০২২ সালের মিলিয়ে ৪৭ টি প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ ওঠে। এই দুটি ক্ষেত্রেই আলাদাভাবে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এবার দুটি টেটের প্রশ্নপত্র খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ এই বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে মিথ্যা তথ্য পেশের অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বিরুদ্ধে
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের টেটে ২৩টি প্রশ্ন ভুল ছিল এবং ২০২২ সাল ২৪টি প্রশ্ন ভুল ছিল। দুটি মামলায় উঠেছিল বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে।প্রথমে বিচারপতি ২০১৭ সালের টেটে যে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ উঠেছিল তার ভিত্তিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গড়ে প্রশ্ন খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। পরে ২০২২ সালের টেটে ২৪টি প্রশ্ন খতিয়ে দেখার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞের নিয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই মামলাতেই ৩ সসদ্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এই কমিটিতে থাকবেন প্রাথমিক বোর্ডের একজন সদস্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রতিনিধি এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রতিনিধি। ১৪ দিনের মধ্যে এই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। যদি প্রশ্ন ভুল বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে নম্বর বাড়ালে বহু পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হবেন।
একইভাবে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটেও প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ উঠছিল। সেই সংক্রান্ত মামলায় সব পরীক্ষার্থীকে ৬ নম্বর করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রে ৬ টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তার ভিত্তিতে সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন। সেই কমিটিকে প্রশ্নগুলি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
পরবর্তীকালে বিশেষজ্ঞরা সেগুলি খতিয়ে দেখে জানতে পারেন, ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট ৬ টি ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।