বেসরকারি স্কুলের খরচ-সহ বিভিন্ন আর্থিক দিক খতিয়ে দেখার জন্য দুই সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই কমিটিতে আছেন যাদবপুর বিশ্ববদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ে সোমবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। কলকাতা এবং কলকাতা লাগোয়া ১২১ টি বেসরকারি স্কুলের কত খরচ হয়েছে, কোন খাতে সেই খরচ করা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চায় হাইকোর্ট। সেইমতো দুই সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেন বিচারপতিরা। বেসরকারি স্কুলগুলির অ্যাকাউন্ট, ফি কাঠামো-সহ যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি। তার ফলে স্কুলগুলি কোন খাতে কত টাকা খরচ করেছে, তা স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা।
সুরঞ্জনবাবু ছাড়া কমিটির অপর সদস্যের নাম রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে জানাতে বলেছে হাইকোর্ট। প্রয়োজনে সেই কমিটিকে একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নিয়োগেরও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন অভিভাবকরা। তাঁদের একাংশের বক্তব্য, ফি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যের তরফে আগে কমিটি গঠন করা হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। একইসঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো অনেক স্কুলই ৮০ শতাংশ ফি নিতে চাইছে না। বরং পুরো ফি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। তার প্রেক্ষিতে সোমবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, পুরো ফি দিতে না পারলে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। সেইসঙ্গে যাঁরা গত ১৫ অগস্টের মধ্যে স্কুল ফি মিটিয়ে দিতে পারেননি, তাঁদের আরও সাতদিন সময় দেওয়ার কথা বলেছে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।