মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) দাবিতে যৌথমঞ্চের বন্ধ সামিল হয়েছিলেন ডোমজুড়ে শিক্ষক অমিত ঘোষ। তাঁকে শোকজ করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। বদলিও নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই শিক্ষক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সোমবার আদালত সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। কোন আইনে এই বদলি, পর্ষদের কাছে জানতে চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
ডিএ-এর দাবিতে বন্ধে সামিল হয়েছিলেন ডোমজুড়ের মহিষনালা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অমিতকুমার ঘোষ। শিক্ষকের অভিযোগ, তাঁকে শোকজ করার পাশাপাশি বাড়ি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বদলির নোটিশ দেওয়া হয়। ডিএ আন্দোলনকারী সংগঠন যৌথ মঞ্চের ডাকে বন্ধে শামিল হওয়ার জন্য পর্ষদের পক্ষ থেকে হুশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, তাতে শামিল হলে চাকরি জীবনে ছেদ পড়বে। শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজ্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানতে চান, 'ধর্মঘটে যোগ দিলে কর্মজীবনে ছেদ পড়বে এই মর্মে কী ভাবে বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে?' তিনি আরও জানতে চান, 'কোন আইনে এই বিজ্ঞপ্তি?' রাজ্য সরকারের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য,' ডিএ দিলেই তো ঝামেলা মিটে যায়।'
(পড়তে পারেন। 'DA বিক্ষোভকারীদের জন্য ৩৬০০০ জনের চাকরি বাতিল', দাবি মমতার, ‘ডিপ্রেশনে ভুগছে’)
তিনি শিক্ষকের বদলির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে বলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন। শুনানিতে পর্ষদের যুক্তি, শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত বজায় রাখতে বদলি করা হয়েছে শিক্ষককে।
(পড়তে পারেন। শিক্ষক-পড়ুয়া অনুপাত বজায় রাখতে বদলির প্রক্রিয়া শুরু করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ)