কলকাতায় বেআইনিভাবে প্রমোটিংয়ের অভিযোগ নতুন নয়। এবার আলিপুর চিড়িয়াখানার জমি বেআইনিভাবে দখল করে ব্যবসা করা হবে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারই প্রতিবাদে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে সমাজের একাংশ। এ নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করার জন্য সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপির ঘনিষ্ঠ একটি সংগঠন। আদালত সেই সংগঠনকে প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি দিয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলাটি ওঠে। বুধবার সেই মামলায় বিচারপতি মিছিলের অনুমতি দিয়েছেন। তবে সেইসঙ্গে কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আলিপুর চিড়িয়াখানায় খাঁচার ভেতর ঢুকতে পারবেন আপনিও, শীতের মজা! আসছে চিতাবিড়াল
সূত্রের খবর, আলিপুর চিড়িয়াখানার উল্টোদিকেই রয়েছে পশু চিকিৎসালয়। আর তার পাশেই রয়েছে অ্যাকোরিয়াম। সেখানে রয়েছে নানা ধরনের মাছ। এখন অভিযোগ উঠেছে, যে ওই জায়গা থেকে পশু চিকিৎসালয় এবং অ্যাকোরিয়াম সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। আর এগুলি স্থানান্তরের পর সেখানে শুরু করা হবে প্রোমোটিংয়ের কাজ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। এনিয়ে প্রতিবাদ জানাতে পথে নামতে চেয়েছে বিজেপির ঘনিষ্ঠ ওই সংগঠন। প্রথমে মিছিলের জন্য তারা কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। এ বিষয়ে তারা পুলিশের কাছেও আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতেই মিছিলের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সংগঠনটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে তাদের কর্মসূচি শুরু করতে পারবে। তবে শেষ করতে হবে বেলা তিনটের মধ্যে। একইসঙ্গে কর্মসূচিতে কত লোক যোগ দিতে পারবে সেই সংখ্যাটাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে হাইকোর্ট। নির্দেশ অনুযায়ী, এক হাজারেরও বেশি লোক এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবেন। জানা গিয়েছে, এদিন রবীন্দ্রসদন মেট্রো থেকে পিটিএস মোড হয়ে মিছিল চিড়িয়াখানা পর্যন্ত যেতে পারবে।
আরও জানা গিয়েছে মিছিলে যোগ দিতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি বিজেপির স্থানীয় এবং অন্যান্য নেতারা এই মিছিলে যোগ দিতে পারেন। মিছিলে যাতে কোনওরকমের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেই বিষয়ে পুলিশকে নজর দিতে বলা হয়েছে।