আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচন। এখানে পুরনো ধর্ষণের মামলায় সাগরদিঘির কংগ্রেস কর্মী সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তা নিয়ে শনিবার সাগরদিঘি থানা ঘেরাও করেছিল বাম–কংগ্রেস কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখাতেই ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ এমন গ্রেফতার করেছে বলেই দাবি তাঁদের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে ছুটে আসেন অধীর চৌধুরীও। আজ, বুধবার সাইদুরের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট।
যদিও এই জামিন শর্তসাপেক্ষে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এদিন কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, সপ্তাহে তিনদিন সাইদুর রহমানকে সংশ্লিষ্ট থানার তদন্তকারী অফিসারের সামনে হাজিরা দিতে হবে। রাজ্যের পক্ষ থেকে এই জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছিল। বরং পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পক্ষে সওয়াল করা হয়। পাল্টা সাইদুরের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বলেন, ‘যে অফিসারকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে তা নিয়ম বহির্ভূত। কারণ অফিসার হিসেবে তিনি এখনও পূর্ণ দায়িত্ব পাননি।’
এদিকে রাত ৩টের সময় বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল ওই কংগ্রেস যুব নেতাকে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই সাগরদিঘি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বাম–কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। তাঁদের দাবি ছিল, এভাবে পুলিশ মাঝরাতে গিয়ে কেন একজন কংগ্রেস নেতাকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে গ্রেফতার করল?
অন্যদিকে যে মামলায় সাইদুরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তা নিয়ে অভিযোগকারীর আইনজীবী দাবি করেন, বিভিন্ন ভিডিয়ো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। আর যে সময়ে এই ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ, তারপর অভিযোগকারী মহিলার বিয়ে হয়েছে। আর তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, মিথ্যা মামলা ফাঁসিয়ে সাইদুরকে জেলে ঢোকানো হয়েছিল। পুলিশ চেষ্টা করছে এভাবে উপনির্বাচনের আগে ভয় দেখাতে যাতে কংগ্রেস কর্মীদের ঘরে ঢুকিয়ে দিতে পারে। আর উপনির্বাচন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শেষ কয়েকদিন খাওয়া–ঘুম নেই আমাদের। দলের নেতা কর্মীরা সকলেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ফিরহাদ সাহেব রোড–শো করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে এসেছেন। আমাদের জয় নিশ্চিত।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup