সারদা মামলায় দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতার সমস্ত মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন তিনি। সম্প্রতি আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন দেবযানী৷
শনিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। তবে এখনও দেবযানীর বিরুদ্ধে অসম ও ভুবনেশ্বরে মামলা চলছে।
মামলার শুনানিতে দেবযানীর পক্ষের আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় সওয়াল করেন যে, এই মামলায় যাঁরা মূল অভিযুক্ত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু দেবযানী সারদার শুধুমাত্র একজন কর্মী ছিলেন। তার সত্ত্বেও এতদিন তাঁকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আইনজীবীর আরও অভিযোগ, সিবিআই ইচ্ছে করে তাঁর জামিনে বাধা দিচ্ছে।পাশাপাশি আইনজীবী করোনার পরিস্থিতির কথাও আদালতে উল্লেখ করেন।
গত ১৫ জুনের শুনানিতে হাইকোর্টে দেবযানীর জামিন সংক্রান্ত মামলা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে সিবিআইকে ভর্ৎসনা করে আদালত প্রশ্ন করে, কেন এই মামলা পিছোতে চাইছে তারা? গত ১৬ জুন এই মামলার শুনানি প্রক্রিয়া শেষ হয়৷ এদিন জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত৷
২০১৩ সালে সারদা চিটফান্ড কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই কলকাতা ছেড়ে পালিয়ে যান সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন ও সারদার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়। ২২ এপ্রিল কাশ্মীর থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তারপর থেকে দু’জনেই জেলে ছিলেন। ২০১৪ সালে সারদা ট্যুর অ্যাণ্ড ট্রাভেলসের মামলায় অভিযুক্ত হন দেবযানী। সারদা মামলায় একাধিকবার শুনানি ও বিচারপর্বের শেষে এদিন কলকাতার সমস্ত মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন দেবযানী। তবে কলকাতার সমস্ত মামলা থেকে মুক্তি মিললেও অসম ও ভুবনেশ্বরের মামলাগুলি থেকে এখনই রেহাই পাচ্ছেন না দেবযানী। সেক্ষেত্রে তিনি এখনই জেল থেকে ছাড়া পাবেন কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ, অসমে তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই ও ইডির মামলা চলছে। একইরকমে ভুবনেশ্বরেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ওদিকে এখনও সারদা মামলায় জেলেই থাকতে হবে সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে।