মন্দারমণি সমুদ্র সৈকতে শতাধিক হোটেল, লজ, রিসর্ট বেআইনিভাবে গড়ে তোলার অভিযোগের সেগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কলকাতা হাইকোর্ট আগেই সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়ানো হল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মন্দারমণির বেআইনি হোটেল, রিসর্ট ভাঙার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। তার আগে আগামী ১৭ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: মন্দারমণির হোটেল থেকে সমুদ্রসৈকত শুনশান, বেআইনি নির্মাণ ভাঙা নিয়ে চাপে ব্যবসায়ীরা
মন্দারমণিতে বেআইনিভাবে হোটেল, রিসর্ট গড়ে তোলার অভিযোগ তুলে আগেই জাতীয় পরিবেশ আদালতে একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় মন্দারমণিতে প্রায় দেড়শোর কাছাকাছি অবৈধ হোটেল ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।কারণ, হোটেলগুলি উপকূল বিধি না-মেনেই গড়ে উঠেছিল। সেই নির্দেশ মেনেই এবার মন্দারমণিতে ১৪০টি বেআইনি হোটেল, রিসর্ট, লজ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন। সেইমর্মে জেলা প্রশাসনের তরফে গত ১১ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এরফলে বহু মানুষের রুজি রুটি প্রশ্নের মুখে পড়ে। তারপরেই আদালতের দ্বারস্থ হন হোটেল, রিসর্টের মালিকরা।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মন্দারমণি এবং আশেপাশের আরও চারটি মৌজায় ১৪০টি হোটেল, লজ, রিসর্ট এবং হোম স্টে বেআইনিভাবে গড়ে উঠেছে বলে দাবি করা হয়। যদিও এই নির্দেশের কথা মুখ্যমন্ত্রীর কানে যেতেই তিনি বিরোধিতা করেন। তিনি বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে নির্দেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। তবে তার আগেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়ে যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন হোটেল মালিকদের সংগঠন। সেই মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।
গত ২২ নভেম্বর জেলাশাসকের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি সিনহা। ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই স্থগিতাদেশ বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। আজ মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির কথা ছিল। তবে বিচারপতি এখন রয়েছেন আন্দামান সার্কিট বেঞ্চে। বিচারপতি সিনহা না থাকায় অস্থায়ীভাবে মামলার শুনানি করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ফলে মামলা পিছিয়ে যায়। সেই কারণে এ দিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়ে দেন, ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেল, রিসর্ট নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করছেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।