Justice Abhijit writes to Shah: ‘ওখানকার পুলিশের মধ্যে দেশ বিদ্বেষী মনোভাব’, শাহকে চিঠি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

Justice Abhijit writes to Shah: গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে লাদাখ, কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, কার্গিলের দ্রাস এবং সোনমার্গ থেকেই সমস্যা শুরু হয়। বিচারপতিদের যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, কাশ্মীর প্রশাসনের তরফ থেকে তার কিছুই তাঁকে দেওয়া হয়নি।

অমিত শাহকে চিঠি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

লাদাখ ও কাশ্মীর বেড়াতে গিয়ে পদে পদে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, এই অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজের এজলাসে সেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ভাগ করেন তিনি। তিনি জানান, তাঁর ধারণা, এখনও কাশ্মীরের বহু পুলিশ আধিকারিক দেশবিরোধী মনোভাব পোষণ করেন। আর তাই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন বিচারপতি।

গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে লাদাখ, কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, কার্গিলের দ্রাস এবং সোনমার্গ থেকেই সমস্যা শুরু হয়। বিচারপতিদের যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, কাশ্মীর প্রশাসনের তরফ থেকে তার কিছুই তাঁকে দেওয়া হয়নি। তাঁকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দিয়েও মাত্র আধঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করে নেয় সোনমার্গ পুলিশ। এর জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়েই হোটেলে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে।

বিচারপতি জানান, নিয়ম অনুযায়ী, রাস্তা চিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে কোনও বিচারপতির কনভয়ে প্রোটোকল অফিসার এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিরা থাকেন। কিন্তু, কাশ্মীরে থাকাকালীন তাঁকে এই বিষয়ে কোনও সাহায্য করা হয়নি। পুলিশকে ডাকা হলেও তারা আসেনি। দ্রাসের পুলিশ অফিসারদের মধ্যে দেশ বিদ্বেষী মনোভাব রয়েছে বলে বিচারপতি জানান। তিনি বলেন, ‘এক পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি আমাকে বলেন যে তিনি তুরতুক এলাকার। তবে সেই তুরতুক নাকি আদতে পাকিস্তানের এলাকা। ভারত অবৈধ ভাবে সেটা দখল করে রেখেছে।’ জানা গিয়েছে, নিজের পুরো অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েই অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।