বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > এটা মগের মুলুক? কার সুপারিশে চাকরি? বিধায়কের? বাংলা স্যারকে ভর্ৎসনা বিচারপতির

এটা মগের মুলুক? কার সুপারিশে চাকরি? বিধায়কের? বাংলা স্যারকে ভর্ৎসনা বিচারপতির

মামলাকারী শিক্ষককে চরম ভর্ৎসনা আদালতের। 

এসএসসিতে একের পর এক দুর্নীতি এবার ক্রমে সামনে আসছে। তবে শুধু তৃণমূল জমানাতেই নয়, বাম জমানাতেও পরিচালন সমিতির মাধ্যমে যে শিক্ষক নিয়োগ হত তাতে কতটা স্বচ্ছতা থাকত সেই প্রশ্ন এবার উঠতে শুরু করেছে। 

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে একের পর এক দুর্নীতি ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে। মন্ত্রী কন্যা থেকে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ, ঘুরপথে শিক্ষকের পদে বসে গিয়েছিলেন অনেকেই। এবার নদিয়ার এক পার্ট-টাইম শিক্ষককে তুমুল ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই শিক্ষকই মামলা দায়ের করেছিলেন। আর আদালত সেই মামলাকারীর ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলল।

১৯৯৮ সালের মে মাস থেকে ২০০৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত নদিয়ার গয়েশপুরের স্কুলে বাংলা বিষয়ে অস্থায়ী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন ওই ব্যক্তি। এরপর কার্যত মৌখিকভাবে তাঁকে শিক্ষকতার কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়। এদিকে কেন তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে সেই প্রশ্ন তুলে ২০১২ সালে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই শিক্ষক।

তবে রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, ওই শিক্ষক অস্থায়ী পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁকে কোনও নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়নি। পরিচালন কমিটি নিয়োগ করেছিল তাঁকে। এরপরই হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা প্রশ্ন তোলেন, কার সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন? স্থানীয় বিধায়ক? আপনাদের মতো লোকের জন্য ৯ বছর স্থায়ী পদে শিক্ষক নিয়োগ করা যায়নি।আপনি তো পদ আটকে রেখেছিলেন। এটা কি মগের মুলুক? এরপরই শিক্ষকের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক। 

এদিকে শিক্ষকের মামলা খারিজ হয়ে যাওয়াতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রাজ্য সরকার তথা সংশ্লিষ্ট স্কুল। তবে বাম জমানায় তিনি কার সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন সেই প্রশ্নটা রয়েই গিয়েছে। 

বন্ধ করুন