বাংলায় বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১২টি আসন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ২৯টি আসন। গোটা দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। শরিক ধরে এখন এনডিএ সরকার গড়ে উঠেছে। রবিবার রাতেই হয়েছে শপথগ্রহণ। আর এবার অভিযোগ, গত ৪ জুন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই বিজেপি নেতা–কর্মীদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। তার জেরে নেতা–কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই ঘটনা আবার শোনা যাওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আক্রান্ত হচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। এই অভিযোগ তুলে এবার নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর একই ছবি দেখা গিয়েছিল বলে বিজেপির অভিযোগ। তাই সিবিআই তদন্ত দেওয়া হয়। আর আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে শুভেন্দু অধিকারী আবেদন করেন, বিরোধীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিক কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বিল্ব ভট্টাচার্য। এই মামলা দায়ের করার এবার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে সরিয়ে দিল নবান্ন, আরও কয়েকটি রদবদল হতে চলেছে
কদিন আগেই এই একইরকম মামলায় রাজ্যের ডিজিকে হস্তক্ষেপ করতে বলা হয় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। তারপরও হিংসা বাড়ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোতেই কলকাতা–সহ গ্রামবাংলার নানা প্রান্ত থেকে হিংসার খবর আসতে শুরু করেছে। মারধর, বাড়িঘর ভাঙচুরের খবর আসতে শুরু করেছে বলে বিজেপির দাবি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। কদিন আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় কড়া ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আগামী পাঁচ বছর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
নানা গাইডলাইন তাতে দেওয়া হয়েছিল। সেই সবের তোয়াক্কা না করে আবার হিংসা বেড়ে গিয়েছে বলে মামলা দায়ের করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আইনজীবী মারফত এই মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আগের জনস্বার্থ মামলায় বিচারপতি কৌশিক চন্দ তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘একাধিক সাংবাদমাধ্যমে ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি দেখা যাচ্ছে।’ তাই বাংলায় অশান্তি, হিংসা রুখতে কেন্দ্র–রাজ্য সরকারকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশ কোনওভাবে যেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ না হয়। সেদিকে নজর দিতে বলা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী হস্তক্ষেপ করতে পারবে বলে জানান বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আর এবার নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাজ্যে এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে।