ওএমআর শিট নষ্ট মামলায় নতুন করে করে এফআইআর করা হবে নাকি পুরনো এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত করবে তা সিবিআইয়ের উপর ছেড়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গতকাল নির্দেশ দিয়েছিলেন ওএমআর শিট নষ্ট মামলায় নতুন করে এফআইআর করে তদন্ত করতে হবে। আজ বুধবার বিচারপতি সেই নির্দেশ বদল আনেন।
ওএমআর শিট নষ্ট মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই কারণে পুনরায় নতুন করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, স্ক্যান মোডে ওএমআর শিট থাকলে তা জালিয়াতি করা যেত না। কিন্তু, ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা হয়েছে ডিজিটাইজ মোডে। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে জালিয়াতি থাকলেও থাকতে পারে বলে মনে হয়েছে আদালতের। জানা গিয়েছে, ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিল সেক্ষেত্রে ১২ লক্ষ ৯৫ হাজার ওএমআর শিট নষ্ট হয়েছে। ফলে এত বিপুল সংখ্যক ওএমআর শিট নষ্ট নিয়ে পর্ষদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে। কী কারণে নষ্ট হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তার ব্যাখ্যা দিতে পারিনি হাইকোর্টের কাছে। তাই নতুন করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। একই সঙ্গে প্রয়োজনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নিয়ে সিবিআই জিজ্ঞাসা বাদ করতে পারবে বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ।
যদি যদিও সিঙ্গেল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রথমে ডিভিশন বেঞ্চ ও পরে সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক ভট্টাচার্য। সেখানে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন আজ বুধবার পর্যন্ত সিবিআই তাকে গ্রেফতার করতে পারবে না বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজও সেই মামলার শুনানি রয়েছে।