রাজ্যের পুজো অনুদানকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে দায়ের হল মামলা। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এব্যাপারে মামলা দায়েরের অনুমতি চান জনৈক আইনজীবী। অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। গত বছরও রাজ্যের পুজো অনুদানকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। একাধিক শর্ত আরোপ করে অনুদান দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল আদালত।
চলতি বছর রাজ্যের পুজো কমিটিগুলি ৭০ হাজার টাকা করে অনুদান পাবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলাকারীর দাবি, এই অনুদান সরকারি টাকার অপচয়। অবিলম্বে আদালতের এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা উচিত। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হতে পারে।
রাজ্যে পুজো অনুদান শুরু হয়েছিল ক্লাবপ্রতি ২৫ হাজার টাকা দিয়ে। তা বছর বছর বাড়তে বাড়তে হয়েছে ৭০ হাজার। পুজো অনুদান দিতে এবারও রাজ্য সরকারের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে। তবে রাজ্যের দাবি, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে রাজ্যের একটি বৃহত্তর অর্থনীতি কাজ করে। তাই এই টাকা ঘুরে ফিরে সেই গরিব মানুষের কাছেই যায়। পালটা বিরোধীদের দাবি, পুজো কমিটিগুলি কার্যত পাড়ার ক্লাব দ্বারা পরিচালিত হয়। আর ক্লাবগুলিকে হাতে রাখতে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাজ্য সরকার। যে রাজ্যে শিল্প নেই, শিক্ষকের অভাবে স্কুলে পঠনপাঠন ঠিক মতো হচ্ছে না। সেখানে পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়ার নামে ভোট কিনতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
গত বছর পুজো অনুদানের বিরোধিতা করে দায়ের মামলায় প্রদান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছিল, অনুদান পেতে গেলে ক্লাবগুলিতে ৬টি শর্ত মানতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম হল ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে তাদের।