চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার পর যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। তরুণীর অভিযোগ, ধর্ষণের জেরে অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। এর পর তাঁর পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ সন্তানকে মেরে ফেলেন ওই তৃণমূল নেতা।
নির্যাতিতার অভিযোগ, ২০২১ সালের মার্চে স্থানীয় এক দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে চাকরির জন্য ১০ লক্ষ টাকা দেন তিনি। নেতা কথা দেন, ২ মাসের মধ্যে তাঁকে গ্রুপ সি বা গ্রুপ ডিতে নিয়োগ দেবেন। কিন্তু বেশ কয়েকমাস পেরলোও তাঁকে নিয়োগ দেননি ওই তৃণমূল নেতা। এর পর ওই নেতা তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। গত বছর জুলাই মাসে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হন তরুণী। এর পর তরুণীর সঙ্গে লাগাতার সহবাস করেন ওই তৃণমূল নেতা। চলতি বছর মার্চে গর্ভবতী হয়ে যান তরুণী। তৃণমূল নেতাকে সেকথা জানালে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এর পর তরুণীকে এক ফাঁকা জায়গায় ডেকে তাঁর পেটে লাথি মারেন ওই তৃণমূল নেতা। এতে গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।
SSC scam- ২৩ দিনের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে ২৩ জনকে, প্রাথমিক সংসদকে নির্দেশ আদালতের
তরুণীর দাবি, এর পর আর এলাকায় থাকতে পারছিলেন না তিনি। মঙ্গলকোট থেকে পালিয়ে আউসগ্রামে আশ্রয় নেন তিনি। আউসগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনাটি মঙ্গলকোট থানা এলাকায় ঘটায় সেখানে অভিযোগটি পাঠিয়ে দেয় আউসগ্রাম থানা।
তরুণীর দাবি, তার পর থেকে এই ঘটনার তদন্তের কোনও অগ্রগতি হয়নি। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। এই মর্মে হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। এই মামলায় সিবিআইকে পক্ষ করার আবেদন করেছেন তিনি। সঙ্গে তাঁর আবেদন, মঙ্গলকোট থানাকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিন রাজ্য পুলিশের ডিজি।