‘কয়লা ভাইপো’, ‘লেডি কিম’-এর পরিচয় জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। শিশু সুরক্ষা কমিশনের এক নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা এক মামলায় এই প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। সঙ্গে যে অভিযোগের ভিত্তিতে শুভেন্দুকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, শুভেন্দুর টুইটে সেই অভিযোগকারীর কী ক্ষতি-বৃদ্ধি হয়েছে সে প্রশ্নও তুলেছে আদালত।
গত ১৩ নভেম্বর কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, ‘আজ রাতে তাজ বেঙ্গলে মোচ্ছব হবে। কয়লা ভাইপোর ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলের নিরাপত্তায় ৫০০ পুলিশ কর্মী, বম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়েছে।’ তিনি আরও লেখেন, এই নিরাপত্তা আয়োজনের জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মমতা পুলিশ অফিসার জামালকে। আড়ম্বর ও বিলাসে লেডি কিমের পরিবার আসল উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে।
শুভেন্দুর এই টুইটে উল্লেখিত শিশুটির নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে ১৬ নভেম্বর শিশু সুরক্ষা কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন শিল্পা দাস নামে এক মহিলা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করা হবে না তা জানতে চেয়ে শুভেন্দুকে নোটিশ পাঠায় শিশু সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী।
সেই মামলার শুনানিতে বুধবার বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেন, ‘টুইটে তো কারও নাম নেই। কয়লা ভাইপো কে? এই টুইটের জেরে অভিযোগকারীর কী ক্ষতি-বৃদ্ধি হয়েছে? অভিযোগ সত্যি হলেও কি কমিশনের পদক্ষেপ করার অধিকার রয়েছে?’ বিচারপতি আরও প্রশ্ন করেন, ‘লেডি কিম-ই বা কে? ইনি কি উত্তর কোরিয়ার কিম? না কি মজা করে কাউকে উল্লেখ করা হয়েছে?’
এই মামলায় আগামী সপ্তাহে আদালতে হলফনামা জমা দেবেন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। কমিশনের আইনজীবী হলফনামা দিতে আরও কিছু সময় চেয়েছেন।