আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে এখন তোলপাড় গোটা রাজ্য। রাজপথে মিছিল, রাত দখল থেকে স্লোগান সবই দেখেছে বাংলার মানুষ। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি থেকে সিবিআই তদন্ত এবং মামলা চলে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এবার এই আবহে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে ধরনায় বসতে চান আমতার আনিসের বাবা সালেম খান। শ্যামবাজারে ধরনায় বসার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আনিসের বাবা। তবে তাঁকে ধরনায় বসার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। তবে সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন বেশ কয়েকটি শর্ত।
যুবক আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক আছে। খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। নিজের ছেলেকে হারিয়ে আজও লড়াই করছেন বাবা সালেম খান। আর তার মধ্যেই আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় ধরনায় বসতে চান তিনি। আগামীকাল ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধরনায় বসার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে শর্তসাপেক্ষে। দুপুর ২টো থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ধরনায় বসতে পারবেন। ১২ ফুট বাই ১৫ ফুট মঞ্চ বানানোর অনুমতি রয়েছে। ৩০০ লোক নিয়ে অবস্থানে বসতে পারবেন সালেম খান। তবে মানতে হবে শব্দবিধি। আনিসের দাদা সাবির খান বলেন, ‘আমরাও সুবিচার চাই। বাবার সঙ্গে আমিও ধরনায় বসব।’
আরও পড়ুন: কলকাতার পুলিশ কমিশনার কি পরিবর্তন হচ্ছে? নবান্ন থেকে মিলল বিরাট খবর
এই ঘটনা নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। আগে ডিওয়াইএফআইয়ের ধরনামঞ্চে অংশ নিয়েছিলেন সালেম খান। এবার তিনি নিজে ধরনায় বসতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। তবে শহরের নানা প্রান্তে ধরনা মিছিল চলছে। এই আবহে অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আনিসের বাবা। আজ, শুক্রবার আদালত সেই অনুমতি দিল তাঁকে। ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আনিস খান হয়ে উঠেছিল শিরোনামের সংবাদ। কারণ পুলিশকর্মীরা তাঁর খোঁজে আমতার বাড়িতে গিয়ে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেয়। যার জেরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
গত ১৪ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে হামলা হয়। ভাঙচুরে নষ্ট হয় সম্পত্তি। আর এই কাজ বিজেপি এবং সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই করেছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরও আন্দোলন জারি রয়েছে রাজপথে। ছেলের মৃত্যুর বিচার চেয়ে রাজপথে নেমেছিলেন বৃদ্ধ বাবা সালেম খান। আবারও পথে নামছেন তিনি। এবার আরজি কর হাসপাতালে খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসকের জন্য। এবার ধরনা কর্মসূচিতে বসছেন আনিসের বাবা।