Calcutta HC on Mosque Clash: 'কোন ধর্ম মানুষ মারার কথা বলে?' এক মসজিদের দায়িত্ব পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাঁধে চাপাল হাই কোর্ট

গত ১৩ নভেম্বরের সেই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৮ জন জখম হয়েছিলেন। এই মামলায় এবার পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। যে মসজিদে সংঘর্ষ হয়েছে, তার দায়িত্ব পুলিশকে নিতে নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। মসজিদে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।

পূর্ব মেদিনীপুরে এগরায় এক মসজিদে নমাজ আদায়ের সময় নিয়ে বচসার জেরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। গত ১৩ নভেম্বরের সেই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৮ জন জখম হয়েছিলেন। এই মামলায় এবার পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। যে মসজিদে সংঘর্ষ হয়েছে, তার দায়িত্ব পুলিশকে নিতে নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। মসজিদে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। (

এই মামলায় হাই কোর্টের তরফ থেকে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, 'মানব ধর্ম সবথেকে ওপরে। কোন ধর্ম মানুষ মারার কথা বলে?' উল্লেখ্য, এই মামলায় এর আগে গত ৭ নভেম্বর হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যাতে মসজিদের নমাজ আদায়ের সময় নির্দিষ্ট করে নির্ধারণ করা হয়। তবে গতকালকের শুনানিতে উচ্চ আদালত বলে, কোর্টের আগের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। এদিকে এই মামলার শুনানিতে হাই কোর্টকে পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনায় ৩টি এফআইআর রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতে দু'জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। (

গতকাল এই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি তীর্থাঙ্কর ঘোষ নিজের পর্যবেক্ষণে বলেন, 'ধর্ম মানুষের আবেগ, অনুভূতি এবং বিবেকের সঙ্গে যুক্ত। যদি এর মধ্যে কোনও একটি ফ্যাক্টর বাঁধ ভাঙে, তখন হিংসার ঘটনা ঘট পারে। তবে সবার ওপরে মানব ধর্ম।' এরপর তিনি নির্দেশ দেন, এই মসজি পরিচালনা করবে পুলিশ। এগরা থানার ওসির অনুমতি নিয়ে এই মসজিদে প্রবেশ করা যাবে।