দেশজুড়ে বক্স অফিসে দাপট দেখাচ্ছে 'দ্য কেরালা স্টোরি'। তবে পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ এই সিনেমাটি। এই আবহে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। প্রাথমিক ভাবে সেই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে সেই আবেদন খারিজ করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা ইতিমধ্যেই চলছে বলে এবার শুনানি পিছিয়ে দিল উচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের একটি ডিভিশন বেঞ্চ বলে যে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই একই ধরনের একটি পিটিশন শুনছে। তাই হাই কোর্ট সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবে।
এদিকে বিচারপতি এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলে মামলাকারী আইনজীবী তার বিরোধিতা করেন। তিনি আবেদন জানান যাতে এই মামলা সংক্রান্ত 'কিছু প্রাথমিক খোঁজ' চালানো হয়। তখন ঠাট্টার ছলে বেঞ্চের তরফে মন্তব্য করা হয়, 'কী প্রাথমিক খোঁজ চালানো হবে? অনেক গরম পড়েছে এবং এই আবহাওয়াতেও থিয়েটারে এসি চলছে না? আগে সুপ্রিম কোর্টকে মামলাটা শুনতে দিন।' উল্লেখ্য, 'দ্য কেরালা স্টোরি' নিষিদ্ধ করার বিরোধিতায় কলকাতা হাই কোর্টে পৃথক দু'টি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন অনিন্দ্য সুন্দর দাস এবং দেবদত্ত মাঁঝি।
প্রসঙ্গত, দেশের একমাত্র রাজ্য হিসাবে গত ৮ মে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ। নবান্নের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, 'রাজ্যে শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে পশ্চিমবঙ্গে দ্য কেরালা স্টোরি চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। এই সিনেমায় যেসব দৃশ্য দেখানো হয়েছে, তা রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক হতে বলে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই রাজ্য প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত।' এদিকে সিনেমা নিষিদ্ধ করার এই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সিনেমার নির্মাতারা। সেই মামলার প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিশ পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। এর জবাবে নবান্নের তরফে জবাব দেওয়া হয়, 'সিনেমায় বিকৃত তথ্য পেশ করা হয়েছে। এই সিনেমা বিদ্বেষমূলক। এই ছবি প্রদর্শিত হলে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইন-শৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে।' উল্লেখ্য, রাজ্যের ৯০টি থিয়েটারে গত ৫ই মে এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল। তবে এর কয়েকদিন পরই মমতা নবান্নে সংবাদসম্মেলনে সিনেমাটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। পশ্চিমবঙ্গ সিনেমা (রেগুলেশন) অ্যাক্টের ৬ নম্বর ধারার আওতায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি সরকরের তরফে বল হয়েছে, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব, সেখানে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে ন।