আদালতের কাছে চালাকি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন আইনজীবী। যার জেরে শাস্তি পেতে হল ওই আইনজীবীকে। একটি জামিনের মামলায় তথ্য গোপন করা এবং আদালতকে ভুল পথে চালিত করার খেসারত দিতে হল আইনজীবিকে। ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা শুরু করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশে দিল বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। অভিযুক্ত আইনজীবীর নাম অরিন্দম রায়। তার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করার পাশাপাশি বার কাউন্সিলকে আইনজীবীর কাজের জন্য তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আইনজীবী মহলের একাংশের মতে এই ধরনের ঘটনা আদালতে বিরল। সূত্রের খবর, একটি জামিন সংক্রান্ত মামলায় আইনজীবী জামিনের জন্য অন্য একটি জামিনের নথি আদালতে পেশ করেন। কিন্তু, তা আদালতের চোখ এড়াতে পারেনি। বিষয়টি বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নজরে আসতেই তিনি বেজায় ক্ষুব্ধ হন। আইনজীবীর চালাকি ধরে ফেলার পর বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘ আইনজীবী আদালতকে বিভ্রান্ত করছেন। এটা একেবারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
যদিও এই আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালতকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগেও বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ, বিচারপতি হরিশট্যান্ডনের বেঞ্চকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ রয়েছে এই আইনজীবী বিরুদ্ধে। সেই সময় বিচারপতি সৌমেন সেন আইনজীবিকে সতর্ক করেছিলেন। এরপর বিচারপতি হরিশট্যান্ডন আইনজীবীর কাছে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন। বারবার একই অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও হুঁশ না ফেরায় শেষে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জালিয়াতির দায়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল।