ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইয়ের যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন করল কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসায় নন্দীগ্রামের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আবু তাহেরের আগাম জামিন খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত। সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টের কাছে তার আগাম জামিনের বিরোধিতা করে। যদিও এই মামলায় আবু তাহেরকে অভিযুক্ত হিসেবে না ডেকে সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু, সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠালেও গ্রেফতারের আশঙ্কা করেছিলেন আবু তাহের। সেই কারণে তিনি কলকাতার হাইকোর্টের কাছে আগাম জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু, সিবিআই সেই আগাম জামিনের বিরোধিতা করলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘এটা কি ধরনের যুক্তি!’
নন্দীগ্রামের খুনের ঘটনায় এর আগে শেখ সুফিয়ানের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু, পরবর্তী সময় সুপ্রিম কোর্ট তার আগাম জামিন মঞ্জুর করেছিল। আদালতে আবু তাহেরের আইনজীবী জানান, দুজনে একই মামলায় অভিযুক্ত তাহলে তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না! যদিও সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, দুজনে একই মামলায় অভিযুক্ত হলেও অভিযোগের গুরুত্ব দুজনের ক্ষেত্রে আলাদা রয়েছে। শেষমেষ বিচারপতি আবু তাহেরের আগাম জামিন খারিজ করে দেন। নিয়ম অনুযায়ী, অভিযুক্ত বা সাক্ষী হিসেবে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে সে ক্ষেত্রে আলাদা আলাদাভাবে নোটিশ পাঠাতে হয়। আবু তাহেরকে সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরেই ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটে। যার ফলে বহু মানুষ খুন হয়েছিলেন। বাদ যায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র নন্দীগ্রামও। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ওই এলাকায় দেবব্রত মাইতি নামে এক বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এর কিছুদিন পরে তার মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্তের জন্যই ডেকে পাঠানো হয়েছে আবু তাহেরকে।