হাওড়ার আমতায় আনিস খানের রহস্যমৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবিতে দায়ের মামলার শুনানি শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার শুনানির শেষ দিনে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার প্রশ্ন, যে পুলিশের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ তারই সদস্যদের গঠন করা সিটের ওপর কি ভরসা থাকতে পারে পরিবার বা জনগণের। এদিন মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি।
এদিন আদালতে আনিসের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, এই খুনের পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন। আনিস খান বারবার তাঁর প্রাণের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে অসহযোগিতা করছিল। তাছাড়া সিট যে তদন্তরিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে তাতে সেদিনের ঘটনাক্রম অস্পষ্ট। আনিসের বাড়িতে গিয়ে পুলিশকর্মীরা তাঁকে দেখতে পেয়েছিলেন কি না তারও উল্লেখ পর্যন্ত নেই রিপোর্টে। ফলে রাজ্য সরকার গঠিত সিটের ওপর আস্থা নেই পরিবারের।
পালটা রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এই ঘটনায় দ্রুততার সঙ্গে সিট গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকী অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়েছে।
সওয়াল জবাব শুনে বিচারপতি মান্থা বলেন, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিকের ফোনে একটি মেসেজ থেকে ঘটনাক্রমের সূত্রপাত। কিন্তু পুলিশকর্মীর পদমর্যাদা এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। এক থানায় অভিযোগ দায়ের হলে আরেক থানার পুলিশকর্মীরা অভিযানে গেলেন কেন? একথা বলে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি।