সাজার মেয়াদ ফুরালেও আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে পাঠানো যাবে না ৪ রোহিঙ্গা মহিলাকে। এক নির্দেশে এমনই জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।
২০১৬ সালে মায়ানমার সেনার অভিযানের মুখে দেশ ছাড়েন লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে বেশ কিছু ভারতে আশ্রয় নেন। মূলত বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন তারা। তেমনই অনুপ্রবেশ করার সময় মালদা সীমান্তে সন্তানসহ ধরা পড়ে ৪ রোহিঙ্গা মহিলা। বিচারে তাদের ৩ বছরের জেল ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা হয়। সেই সাজার মেয়াদ ফুরানোর পর তাঁদের কেন্দ্রীয় সরকার মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে পারে বলে জানতে পারেন ওই ৪ মহিলা। এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হন তারা।
কথা দিয়েও রাখেননি, শুভেন্দুকে নেতাইয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় AGকে ভর্ৎসনা আদালতের
হামিদা বেগম, আয়েশা বেগম, তসলিমা বেগত ও ফতেমা বেগম নামে ওই ৪ মহিলার হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁদের আইনজীবী আরফিন বেগম। আদালতের কাছে তারা আর্জি জানান, তাদের যেন মায়ানমারে ফেরত পাঠানো না হয়। ভারতেই থাকতে চান তারা তাদের কাছে উদ্বাস্তু শংসাপত্র রয়েছে। মামলার শুনানিতে রাজ্য ও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ওই মহিলাদের দেশে ফেরত পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের।
এর পরই বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য বলেন, ‘দমদম সংশোধনাগারে বন্দি ওই ৪ মহিলাকে আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশে ফেরত পাঠানো যাবে না। সংশোধনাগারে তারা যেন বেঁচে থাকার যাবতীয় রসদ পায় তার খেয়াল রাখতে হবে। ওই চার বন্দির যেন মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ না হয় সেব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে সব পক্ষকে।’ আগামী ১০ অগাস্ট মামলাটির পরবর্তী শুনানি।