স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সর্বত্র শুধুই দুর্নীতি হয়েছে বলে আদালতে দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় সিটের নবনিযুক্ত প্রধান অশ্বিন শেনভি আদালতে উপস্থিত হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন। আর এই কথা শোনার পরে কঠোর মনোভাব দেখালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি জানান, ‘কোনও অপরাধীকেই রেয়াত দেওয়া হবে না।’
আদালতে তিনি জানিয়েছেন, ২১ হাজার পদের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। এর জন্য ২১ হাজারের মধ্যে ৯ হাজার উত্তরপত্র বিকৃত করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে হার্ডডিস্ক উদ্ধার করার বিষয়টিও তিনি জানিয়েছেন আদালতকে। তিনি জানান, প্রথমে ভাবা হয়েছিল মেধাতালিকায় সমস্যা ছিল। কিন্তু, পরে দেখা যায় গোটাটাই দুর্নীতি হয়েছে। এরপরে সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনে বিচারপতি বলেন, ‘যারা যারা দুর্নীতিতে যুক্ত আছে তাদের কাউকেই ছেড়ে কথা বলা হবে না।’ সিবিআই তদন্ত নিয়ে তিনি বলেন, ‘তদন্তে আপনাদের যা যা সাহায্য লাগবে তা আপনারা আদালতে এসে বলবেন। আদালত সবরকম ভাবে আপনাদের সাহায্য করবে। যারা দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছে তাদের কাউকেই ছাড়া হবে না।’
আরও কী কী ভাবে দুর্নীতি হয়েছে তা এদিন আদালতের কাছে তুলে ধরেন সিটের প্রধান। এরপরে দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, ‘জল থেকে কাদা সরিয়ে জলটাকে পরিষ্কার করুন।’ বিচারপতি মনে করেন, ‘এই দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই অনেকটা এগিয়েছে। এসএসসি যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়ে চাকরির আশায় বসে রয়েছেন। শুধু চাকরি নয়, তাঁরা আদালতের ফলাফলের আশাতে বসে রয়েছেন। তাঁরা জানতে চাইছেন সিবিআই কী করল? তদন্ত কত দূর এগল? যোগ্য প্রার্থীরা শুধু নিয়োগ চান।’