কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না রাজ্যের মানুষ। বন্ধ রেখেছে রাজ্য সরকার। বিকল্প ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছে, কেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করা হল। রাজ্যকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে কেন তারা এই পদক্ষেপ করল।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও তা কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার সমকক্ষ নয়। প্রধান বিচারপতি বলেন,'রাজ্য যে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করেছে আদালতের কাছে তার কাজ স্পষ্ট নয়।' হলফনামাতে তা স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলায় সুকান্ত মজুমদার জানান, মোদী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চনার জন্য ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ (সিএসসি) বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য প্রায় ৪০ হাজার সিএসসি বন্ধ করা হয়েছে। তার পরিবর্তে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করে নবান্ন।
(পড়তে পারেন। পুলিশের চক্রান্তে জামিন পেয়েছে BJP কর্মী খুনে অভিযুক্ত, বিস্ফোরক মন্তব্য আদালতের)
তিনি দাবি করেন, ওই কেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে প্রায় দেড় লক্ষ ছেলে ছেলে মেয়ে কাজ হারিয়েছেন। প্রায় ২০০টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া জন্য সাধারণ মানুষকে সাহায্য করত ওই সিএসসিগুলি। ২০২০ সালে ওই কেন্দ্রগুলি তুলে দেয় রাজ্য সরকার আদালতের কাছে তাঁর আবেদন, আবার কেন্দ্রগুলি চাল হোক।
একই সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের দিকে প্রশ্নবাণ ছুড়ে দিয়েছে আদালত। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন,'মামলাকারী গত তিন বছরে আদালতে আসেনি কেন? কী কারণে তিনি এত দেরি করলেন? উনি তো সাংসদ। চাইলে সংসদেও তিনি বিষয়টি উত্থাপন করতে পারতেন। করলেন না কেন? ' ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে তার যুক্তি আদালতকে জানাতে হবে।