জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সদস্য শেখ আবদুল নইমের মৃত্যুদণ্ড খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে তাকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন নইম। উল্লেখযোগ্যভাবে সেই মামলায় তিনি নিজেই সওয়াল করেছিলেন। আজ সোমবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নইমের মৃত্যুদণ্ড খারিজ করেছে।
২০০৭ সালে নইমকে বনগাঁ সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করেছিল বিএসএফ। তার সঙ্গে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। পরে তদন্তে জানা যায়, ভারতে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল নইমদের। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক। তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। তার সঙ্গে যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তার মধ্যে মুজাফ্ফর আহমদ নামে একজন পাকিস্তানের নাগরিক এবং অপরজন কাশ্মীরের বাসিন্দা।
নইমকে প্রথমে বনগাঁ অতিরিক্ত জেলা বিচারকের আদালতে তোলা হয়। তাকে বিভিন্ন ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এরপর ওই আদালতের বিচারক তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। এই লস্কর-ই-তইবার সদস্যকে রাখা হয়েছিল তিহার জেলে। পরে তাকে কলকাতায় আনা হয়। ফাঁসির সাজা ঘোষণার পরেই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান তিনি। সেই মামলার শুনানিতে তিনি নিজেই সওয়াল করার জন্য ডিভিশন বেঞ্চ আবেদন জানান। সেই মতোই আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেছিল। কোনও আইনজীবী না নিয়ে আদালতে নিজেই সওয়াল করত সে। প্রত্যেক শুনানিতে তাকে হাই কোর্টে নিয়ে আসা হত।