কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। হিসেব-বহির্ভূত অর্থ পাচারের মামলা কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরের বিরোধিতা করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সেই আবেদন জানিয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে মামলা দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল।
হিসেব-বহির্ভূত টাকার উৎস খুঁজতে ২০১৯-সালের ৭ এপ্রিল আয়কর দফতর কলকাতা, ইন্দোর, ভোপাল-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালায়। সেই সময় কলকাতায় কমলনাথের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। এমনকী তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল। পরে আয়কর দফতর মামলাটি কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরাতে চায়। এর বিরোধীতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কমল নাথ। তবে আয়কর দফতর দাবি করে কমল নাথের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন নথি ঘেঁটে গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে।
মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত যে যাদের বিরুদ্ধে তল্লাশি চলেছে তাঁদের সঙ্গে কমল নাথের যোগ রয়েছে। বিচারপতি শেখর ববি শরাফের বেঞ্চ জানিয়েছে, আয়কর দফতরের তথ্যপ্রমাণ থেকে স্পষ্ট, হিসেব-বহির্ভূত অর্থ পাচারের এই চক্রে কংগ্রেসের এই প্রভাবশালী নেতার যোগ থাকার প্রাথমিক প্রমাণ রয়েছে। তাই আরও বিস্তারিত তদন্তের জন্যে এই মামলা এ বার দিল্লি থেকেই নিয়ন্ত্রণ করবে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিলে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের বাড়ি থেকে রহস্যজনক ভাবে ২০ কোটি টাকা সর্বভারতীয় কংগ্রেস অফিসে পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় বেআইনি অর্থ পাচার-চক্রও দেখছে আদালত। তাই কমলনাথের আবেদন খারিজ করে আয়কর দফতরকে এই মামলা কলকাতা থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।